সুস্থতার জন্য সকালে এই ৫ খাবার খান

সুস্থতার জন্য সকালে এই ৫ খাবার খান

আমাদের বেশিরভাগেরই দিনের শুরুটা হয় এলোমেলোভাবে। কোনো রকম ঘুম থেকে উঠে একটা কিছু মুখে দিয়েই কাজে নেমে পড়া। কিন্তু যে বেঁচে থাকার জন্য এই কাজ, এই ব্যস্ততা, আপনি একটু অসুস্থ হয়ে পড়লেই তা হুমকির মুখে পড়ে যাবে। তাই নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করা সবার আগে জরুরি। তাই দিনের শুরুটা সুন্দর আর গোছানো হতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। খুব সকালে ঘুম থেকে জাগার অনেক উপকারিতা। সকালের নাস্তাটা হতে হবে স্বাস্থ্যকর। নয়তো পুরো দিন আপনি দুর্বল বোধ করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সকালে কোন ৫টি খাবার খাবেন-

পানি দিয়ে দিন শুরু করুন

ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে একটু পানি খেয়ে বিছানা থেকে নামুন। রাতে বিছানার পাশে একটি পানির বোতল রাখুন, যাতে আপনি চোখ খোলার সঙ্গে সঙ্গেই হাতের কাছে পানি পান। সকালের এই ছোট্ট অভ্যাস আপনার দিনটা আরও অনেক সতেজ করে রাখবে।

ডিটক্স ওয়াটার

শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর এবং বিপাক শুরু করার সবচেয়ে স্মার্ট উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো ডিটক্স ওয়াটার পান করা। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ডিটক্স ড্রিঙ্কের খোঁজ পাবেন, যার মধ্যে বেশিরভাগেরই ভেষজ এবং মসলা। সেগুলো আপনার রান্নাঘরেই পাওয়া যাবে। কিন্তু আপনার জন্য সঠিক ধরনের এবং সঠিক পরিমাণে ডিটক্স ওয়াটার সম্পর্কে জানতে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ভেজানো বাদাম খান

ভেজানো বাদাম এবং শুকনো ফলের সঙ্গে ডিটক্স ড্রিংক পান করতে পারেন। বাদাম সবার জন্যই উপকারী। এটি আপনাকে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেবে। সারারাত পেট খালি থাকার পর ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে অনেকগুলো উপকার ডেকে আনবে। এক্ষেত্রে কাঁচা বাদাম বেছে নেবেন।

কফি বা চা

এবার আপনি এককাপ চা কিংবা কফি নিয়ে বসতেই পারেন। এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কেন সকালে প্রথমেই চা কিংবা কফি খাওয়া যাবে না। কারণ অনেক। কফি এবং চা মূত্রবর্ধক প্রকৃতির যা আপনাকে ডিহাইড্রেটেড করতে পারে। এটি বিপাক প্রক্রিয়াকেও ধীর করে দিতে পারে।

সুষম ব্রেকফাস্ট

সুষম মানে এই নয় যে অনেকগুলো খাবার খেতে হবে। নেটে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলে দ্রুত এবং সহজে তৈরি করা যায় এমন সুষম খাবারের একাধিক রেসিপি পাবেন। এতে অল্প সময়েই পেট ভরে সুষম খাবার খেতে পারবেন। সকালে এই ৫টি খাবারের জন্য আপনার সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময় লাগবে। তাই সকালের খাবারটা কোনোভাবেই এড়িয়ে চলবেন না বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না। সম্ভব হলে রাতেই কিছু খাবার তৈরি করে রাখুন।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন